Your order.
There are no items in your Cart.
বাবার চোখের সামনে ছেলে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এই দৃশ্য দেখার শক্তি কোথায়? বসে থাকার একরত্তি সুযোগ যখন নেই ঠিক তেমনিভাবে কিছু করার উপায়ও পাওয়া যাচ্ছেনা। এমতাবস্থায় খুব কম মানুষই পারে ঝড়ে না যেয়ে ঝড়ো বাতাসের বেগে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। ঠিক তেমনই একজন মানুষের ঘটনা আজ মনে পড়লো যিনি হলেন চীনের কুনমিং-এর বাসিন্দা জুওয়েই। জুওয়েই তার ২বছরের ছেলে হাওয়াংয়কে নিয়ে এমন এক পরিস্থিতিতে পড়েছিলো যার ফলে আজ তিনি অনুপ্রেরণার উদাহরণ। মেনকেস সিনড্রোম নামক বিরল জেনেটিক স্নায়ু রোগে আক্রান্ত চীনা শিশু হাওয়াংয়ের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আর মাত্র কয়েক মাস। কারণ এই বিরল রোগে আক্রান্তরা খুব কমই তিন বছরের বেশি বাঁচে।আর হাওয়াংয় এর বয়স ২বছর। এই রোগে আক্রান্তদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়। হাইস্কুলের ডিগ্রিধারী বাবা,ছেলে অসুস্থ হওয়ার পরই রোগমুক্তির জন্য নিজেই রোগ নিয়ে পড়াশুনা করেছিলেন। তারপর থেকেই ওষুধ তৈরির পরিকল্পনা করেন তিনি। একাধিক সাইট ঘেঁটে জানতে পারেন কী কী প্রয়োজন ছেলের ওষুধের জন্য। চেষ্টা এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় অবশেষে তিনি ছেলের জন্য ঔষধ বানাতে সক্ষম হয়। আর এই কাজের জন্য তাকে যেই পরিমাণ বাক্যবাণের শিকার হতে হয়,মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেয়ে হয়,এমনকি তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়, সেইসব কথা লেখার সাহস নেই,আছে শুধু তার প্রতি মুগ্ধতা। তিনি কেনো এতো কষ্ট করলেন ঔষধ না কিনে সেই কথায় চোখের পানি ছেড়ে যেমন তার আর্থিক ব্যর্থতার প্রকাশ করেছিলেন পাশাপাশি ঔষধের যোগানের অপ্রতুলতাও তার ফার্মাসিস্ট হবার কারণ ছিলো। মানুষের চেষ্টা এবং পরিশ্রমেরই প্রতিফল জুওয়েই এর ঔষধ।
Explore our highly acclaimed publication that has captured the attention of our audience. Stay informed and inspired with Talent Stationary.