Talent Stationary
icon 0
icon

Your order.

There are no items in your Cart.

সফলতার জন্য উত্তেজনা নয়, সঠিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে ধৈর্য এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন।

January 17, 2024 10:57:48 AM
Cover

১৯৬০ এর শেষ দিকে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের গবেষক ওয়াল্টার মেশেল বিভিন্ন নার্সারি স্কুলের বাচ্চাদের মাঝে একটি গবেষণা চালায়। তার গবেষণায় তিনি বেশ কিছু বাচ্চাকে একটা ঘরে নিয়ে আসে এবং প্রত্যেককে একটি করে স্থানীয় খাবার দিয়ে বলেন - তোমরা চাইলে এটি এখনই খেতে পারো। তবে তোমরা যদি আরও ১৫ মিনিট অপেক্ষা করো, তাহলে তোমাদের আরও খাবার দেয়া হবে।” এই বলে তিনি ঘর থেকে চলে গেলেন। ১৫ মিনিট পর এসে তিনি দেখলেন ৭০% শিশু তাদেরকে দেয়া খাবারটি খেয়ে ফেলেছে। আর বাকি ৩০% শিশু ধৈর্য্য ধরে ছিলো পরবর্তী খাবারের জন্য।
পরীক্ষাটা এখানেই শেষ না। ১৫ বছর পর সেই পরীক্ষার্থীদেরকেই আবার ডাকা হলো। দেখা গেলো, যে ৩০% শিশু পরবর্তী খাবারের জন্য ধৈর্য্য ধরে ছিলো, তারা মোটামুটি সব কাজেই অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে। পড়ালেখা, খেলাধুলা, শিল্প কিংবা অন্য যেকোনো কাজে তারা অধিক সফলতা দেখিয়ে আসছে। এই পরীক্ষা এটাই প্রমাণ করে যে, ভবিষ্যতে উন্নতির জন্য কিংবা সফলতার জন্য বর্তমানের আরাম যারা কিছুটা হলেও ত্যাগ করেন, তারাই জীবনে অধিক সফলতা লাভ করে থাকেন। অর্থাৎ যারা বর্তমানের আরামকে অধিক প্রাধান্য দেন, তাদের তুলনায় যারা ভবিষ্যতকে অধিক গুরুত্ব দেন তারা সবক্ষেত্রে বেশি সফল। সময়ের গুরুত্ব বিবেচনায় আমাদের আশেপাশে তিন ধরনের মানুষ দেখতে পাবো- কেউ ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করে, কেউ বর্তমানকে উপভোগ করে আর কেউ আবার নিজের অতীত নিয়েই পড়ে থাকতে পছন্দ করে। এক্ষেত্রে শুধু বর্তমানের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভাবা অনেকটা বাজি ধরার মতো। এতে জীবনে সফলতা আসতেও পারে আবার বড় রকমের ব্যর্থতাও হানা দিতে পারে। তারা জানেই না তাদের সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। অনেকে আবার কেবল অতীত নিয়ে পড়ে থাকে। অতীতের ভুল থেকে যদি কোনো শিক্ষা নেয়া যায়, তাহলে তা ভালো। কিন্তু আপনি যদি অতীতের ব্যর্থতার জন্য নিজের ভবিষ্যতকেও নষ্ট করে ফেলেন, তাহলে তা কোনো অর্থেই ভালো নয়। তাহলে কি শুধুই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে? ব্যাপারটা এমন নয়। বর্তমান সময়ে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা। ভবিষ্যতের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য লক্ষ্যের তালিকা নির্দিষ্ট করে ফেলা। এর ফলে ফেলা আসা ব্যর্থতার সমাধান হবে, আর যদি আবারো ব্যর্থ হয় তবুও হারিয়ে যাবার কিছু নেই। কারণ মানুষ হতাশার সমীকরণে হারিয়ে গেলে কখনোই সফলতার সমাধান হবে না। ব্যর্থতার গ্লানি সইতে যে পারেনা, সফলতা তার জন্য নয়। সফলতার পিছনে হতাশার গ্লানি কিংবা হতাশা ছেড়ে দিতে হবেই। আমরা জীবনে উল্লেখযোগ্য কী করতে চাই, তাহলে অনেকগুলো চিন্তা আমাদের মাথায় একসাথে কাজ করে। এজন্য লক্ষ্যের তালিকা নির্দিষ্ট করে ফেলা এবং বড় বড় লক্ষ্যগুলো পূরণের জন্য ছোট ছোট কয়েকটি লক্ষ্য ঠিক করা। এর ভিত্তিতে ভুলগুলো শুধরে যাবে এবং বড় লক্ষ্য পুরণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূরীভূত হবে। সহোযোগী মানুষের সহোযোগীতা নিতে হবে। যিনি ক্রান্তিলগ্ন ছাড়াও পথের দিশায় মশালের ভূমিকা পালন করবে সামনে এগিয়ে যেতে। এমন কিছু করুন যাতে করে আপনার সবসময় লক্ষ্যের কথা মনে থাকে। অগ্রগতির হিসেব নিন। নিজেকে নিজেই মোটিভেইট করুন। ধৈর্য্যের সাথে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে যাওয়া এবং চেষ্টার ত্রুটি না করা। The war of art বইয়ের লেখক Steven Pressfield এর কথা দিয়ে শেষ করছি - Just give us what you've got.
আপনার সফলতার সুফল প্রাপ্তির আশায় অপেক্ষারত…।

ionicons-v5-q